রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার ৯০ বছর বয়সী মো. আব্দুল মান্নান এখন জীবনযুদ্ধের এক কঠিন সময় পার করছেন। বয়সের ভার, দারিদ্র্য আর অনিশ্চয়তার মাঝে তিনি ও তার স্ত্রী বকুল বেগম এক পরিত্যক্ত, ভাঙা ঘরে বসবাস করছেন। একসময় পরিবার স্বচ্ছল থাকলেও, আজ তারা মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
অসুস্থতা ও বয়সজনিত দুর্বলতার কারণে এই বৃদ্ধ দম্পতির জীবিকা নির্বাহ করা এখন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের দুই ছেলে ও তিন মেয়ে থাকলেও, সবাই নিজেদের পরিবার নিয়ে ব্যস্ত এবং সকলে মৃগী রোগে আক্রান্ত হওয়ায় বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়াতে পারছে না।
একসময় স্ত্রী বকুল বেগম আনারস বাগানে দিনমজুরি করে সংসার চালাতেন, কিন্তু এখন বয়স ও অসুস্থতার কারণে তিনি আর কাজ করতে পারেন না। ফলে তাদের জীবনের প্রতিটি দিনই কাটছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। খাবার, চিকিৎসা ও ন্যূনতম চাহিদা মেটানোর মতো কোনো ব্যবস্থা নেই। বর্তমানে স্থানীয়দের দয়া ও সাহায্যের ওপর নির্ভর করেই তাদের দিন কাটছে।
আব্দুল মান্নান বলেন,আমাদের থাকার কোনো নির্দিষ্ট জায়গা নেই। যে ঘরটিতে থাকছি, সেটি পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিদিন ভয় নিয়ে কাটাতে হয়, না জানি কখন মাথার ওপর ছাদ ভেঙে পড়ে। যদি কেউ একটি স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে অন্তত শেষ দিনগুলো একটু শান্তিতে কাটাতে পারতাম। সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আমার একটাই আবেদন—দয়া করে আমাদের পাশে দাঁড়ান।”
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমরা ব্যক্তিগতভাবে যতটুকু পারছি সাহায্য করছি, তবে এটি দীর্ঘমেয়াদে সম্ভব নয়। তাদের টিকে থাকার জন্য প্রয়োজন স্থায়ী সমাধান। প্রশাসন ও সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসেন, তাহলে হয়তো এই বৃদ্ধ দম্পতির দুর্দশা কিছুটা লাঘব হবে।”
বৃদ্ধ আব্দুল মান্নানের দুর্দশার কথা শুনে নানিয়ারচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই অসহায় দম্পতির কষ্টের কথা শুনে আমি সত্যিই মর্মাহত। তাদের জন্য সরকারিভাবে কী করা যায়, তা আমরা দ্রুত খতিয়ে দেখছি। যত দ্রুত সম্ভব সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়।
ফজর | ৫.৩০ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৪ টা বিকাল |
মাগরিব | ৬ টা সন্ধ্যা |
এশা | ৭.৩০ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৪০ মিনিট দুপুর |