মেহেরাজ হোসেন সুজন- নানিয়ারচরঃ রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় পাহাড়ি পথের উন্নয়নের লক্ষ্যে চলছে গাইড ওয়াল নির্মাণ কাজ।
(রাঙ্গামাটি টু খাগড়াছড়ি) সড়কের পাশেই চলমান রয়েছে এর কাজ আর এই নির্মাণাধীন গাইড ওয়াল নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে এই প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কহিনুর এন্টারপ্রাইজ। ঠিকাদার নিজাম মিশু এ কাজ পরিচালনা করছেন। ২০২২ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্প বর্তমানে চলমান থাকলেও নির্মাণের গুণগত মান নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
নিম্নমানের উপকরণ, দায়সারা কাজের অভিযো পেয়ে সরেজমিনে প্রতিনিধি ৩০ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) বিকেলে গিয়ে দেখে, ঢালাই কাজে ভাঙা ময়লা যুক্ত নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। যা নির্মাণের স্থায়িত্ব ও গুণগত মান প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় পাহাড়ি ব্যাক্তি অভিযোগ করেছেন, এই কাজে ইট, রডসহ অন্যান্য সামগ্রী মানহীন এবং নির্মাণকাজে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে না। ফলে কাজটি দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না,তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
মুঠোফোনে ঠিকাদার নিজাম মিশুর কাছে প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ঢালাইয়ের উপকরণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি দাবি করেন,এটি দুবাই এলসি পাথর ব্যাবহার করছেন। অথচ সরেজমিনে পাওয়া উপকরণগুলো নিম্নমানের বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।
নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের ফলে সড়কের পাশে নির্মিত এই গাইড ওয়াল দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না, তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।এবং এমন দুর্বল নির্মাণকাজ ভবিষ্যতে দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে জানিয়ে স্থানীয়রা দ্রুত প্রকল্পটির মান নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
তারা দাবি করেছেন, অবিলম্বে প্রকল্পের গুণগত মান যাচাই করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের রাঙামাটি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কল রিসিভ না করা তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ফজর | ৫.৩০ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৪ টা বিকাল |
মাগরিব | ৬ টা সন্ধ্যা |
এশা | ৭.৩০ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৪০ মিনিট দুপুর |